শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রত্যেক জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (ডিএফএ) পাঁচ লাখ টাকা করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৩টির বেশি জেলা লিগ করতে পারেনি। বাফুফের এবারের কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর ১ জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে লিগ সম্পন্ন করতে বলেছে। সে নির্দেশনাও মানেনি ডিএফএগুলো।
স্থানীয় নির্বাচনের অজুহাত দিয়েছে। এখন শুধুমাত্র মেহেরপুর, রংপুর ও নীলফামারী জেলায় লিগ চলছে। জেলাগুলো বাফুফের নির্বাচনের সময় যতটা তৎপর থাকে ফুটবলের জন্য ততটা থাকে না।
তাই এবার তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। গতকাল সভা ছিল কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জেলা ফুটবল লিগ কমিটির। তখন জেলাগুলোকে বাফুফে সভাপতির কঠোর বার্তা। লিগ তাদের করতেই হবে। যে টাকা তারা নিয়েছে সে টাকা দিয়েই সম্পন্ন করতে হবে লিগ। অন্যথায় খেলা না করলে ফিফা তাদের কাউন্সিলরশিপ না রাখার পক্ষে।
নির্বাচন এলে জেলা এবং বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলো জোট পাকিয়ে তাদের পছন্দমাফিক লোকদের বাফুফেতে নির্বাচিত করে। এতে যোগ্য ব্যক্তিরা ভোটে হেরে যান।
অথচ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মূল যে কাজ সেই লিগ আয়োজনে ব্যর্থ। গত ২০ বছরে সব জেলা একই বছরে লিগ করেছে এমন নজির নেই। বাফুফে এবং স্পন্সরদের থেকে চার-পাঁচ লাখ টাকা নিয়েও ২০১৮ সালে ৬৪টি জেলা লিগ করতে পারেনি। ৫২টি জেলা লিগ আয়োজনে সমর্থ হয়েছিল। সালাহউদ্দিনও বললেন, ‘জেলাগুলো ভোট নিয়ে যত আগ্রহ দেখা যায় খেলা নিয়ে ততটা দেখা যায় না।’ বাফুফে সভাপতি আরো জানান, বাফুফের নির্বাচনের সময়ও আমরা খেলা চালিয়েছি। তাহলে জেলায় কেন স্থানীয় নির্বাচনের সময় খেলা হবে না।
এ দিকে বাফুফের এত (ভোটাধিকার ১৩৯ কাউন্সিলরের, মোট ১৪৭) কাউন্সিলর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ফিফা। ফিফার যুক্তি খেলায় অংশগ্রহণ না থাকলে তারা কেন বাফুফের কাউন্সিলর থাকবে। সূত্র মতে, গতকালের সভায় বাফুফে সভাপতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, লিগ না করতে পারেল কাউন্সিলর শিপ থাকবে না।
২০১৯ সালে পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়ে যে ১৩ জেলা লিগ সম্পন্ন করতে পেরেছে সেগুলো হলো মানিকগঞ্জ, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাটোর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, ভোলা ও বরিশাল। আর রাজশাহী টাকা নিয়ে লিগও করেনি, হিসাবও দেয়নি বাফুফেতে।
Leave a Reply